যুক্তরাজ্য আ’লীগের দাবী বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমানকারীদের বিচারের সম্মুখীন করা

গত ৭ই ফেবুয়ারি যুক্তরাজ্য বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশের এক পর্যায়ে দলটির নেতা কর্মীরা বাংলাদেশ দূতাবাসে ঢুকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে এবং পরে ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে, বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সমাবেশ শেষে বিএনপির প্রতিনিধিরা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে সেখানে দূতাবাসের কর্তব্যরত কর্মচারীদের হুমকি দেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। শুধু তাই নয় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।বি এন পি নেতাবৃন্দ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ।

দূতাবাসের কর্মচারীরা বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতা কর্মীরা যেভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তছনছ করে জাতির জনকের ছবির অবমাননা করেছে সেটি পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। এসময় তারা হাইকমিশনের রিসেপশন কক্ষে রাখা বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়াল থেকে নামিয়ে ভাংচুর করে, দূতাবাসের বাইরে নিয়ে ছবির অবমাননা করে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের দাবি, তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী হাইকমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিতে ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছেন কিন্তু মিশনের কর্মচারীরা তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হাইকমিশনে প্রবেশ করে, নেতা কর্মীরা ভেতরে কোন ভাংচুর করেনি।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেছেন, হাইকমিশন হামলার ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই যারা এই কাজ করেছে ফুটেজ দেখে তাদেরকে বাংলাদেশ আইনে বিচার করা হোক।

যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সিসি ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ড ও ফুটেজ দেশে পাঠানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই হামলাকারীদের বিপক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা গনমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি হতে প্রাথমিকভাবে  প্রতিবাদকারীর মধ্যে যুবদল নেতা আবুল খায়ের,  খছরুজ্জামান খছরু, মুজিবুর রহমান মুজিব, আবু নাসের, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাসির আহমদ শাহীন,  আবুল হোসেন, ইসতিয়াক  মাহবুব, , শামীম আরা আলম ,  মোঃ মাহামুদ রেজা সজীব ,বিএনপি নেতা শাহিদ আহমেদ চৌধুরী, মোঃ আতাউর রহমান, ইকরাম, মোঃ নুরুজ্জামান ফয়েজ, ডালিয়া লাকুরিয়া, মন্সুর হোসেন,  এ কে এম নেছার উদ্দিন , সালা উদ্দিন, সর্দার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান,  রেজাউল করিম, মোঃ মাকসুদুল হক, মারুফ হোসেন,  মোঃ সাব্বির ,যুবদলের শাহ নেওয়াজ, রায়হান, নজরুল ইসলাম মাসুক, রানা আহমদ সোহেল, ইয়াসমিন আক্তার, সহ আরো কয়েকজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এছাড়াও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, সেলিম আহমদ, শহীদুল ইসলাম, আবেদ রাজা, তাইজুল ইসলাম, আব্দুর রব, খালেদ চৌধুরী, তাইবুর হুমায়ুন, শেখ তপু, জিয়া রহমান, সোহাগ ইসলাম, আবদুর রহিম, আফজাল হোসেন, জাহেদ তালুকদার, তারেক, নুরল রিপন, পারভেজ মল্লিক, শারফারাজ শরফু, আব্দুল হামিদ, নাসিম হোসেন, সাদিক মিয়া, ময়নুল ইসলাম, শামীম উদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, অঞ্জনা আলম, শরীফুজ্জামান তপন, শাহজাহান আহমদ,  শামসুন্নাহার সহ আরো অনেকে এই হামলায় প্রত্যক্ষ্য ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এখন এই প্রতিবাদের ছবি এবং তথ্য সংগ্রহ করছে । আওয়ামী লীগ এটাকে ব্যবহার করে  যুক্তরাজ্য বি এন পি এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাজ্য বি এন পি এর প্রতিনিধি জানায় । যুক্তরাজ্য  বি এন পি এর প্রতিনিধি আরাও জানায় যে, ব্রিটিশ পুলিশ একজন বি এন পি নেতাকে সাময়িক ভাবে গ্রেপ্তার করে আবার ছেড়ে দিয়েছে । তারা আরো দাবী করে তাদের নেতা কর্মীরা কোন প্রকার হুমকি ও ভাংচুরের সাথে জড়িত ছিল না । কিন্তু আওয়ামী এবং হাইকমিশনের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী । এটা পরিস্কার যে আওয়ামী লীগ এই ঘটনাকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য বি এন পি এর সক্রিয় নেতাদেরকে দেশে গেলে হেনস্থা করবে যদিও তারা এখানে কিছু করতে পারে নাই ।