ভোট বর্জন করলেন যারা

ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৭৮ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তারা নির্বাচন বর্জন করেছেন বলে জানা গেছে।

যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরগাড়ি প্রতীকের অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ আসনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জের কামারখোলায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সালমা ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, আজ ৩০ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাস। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির লোক। আমার প্রার্থী সালমা ইসলাম এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। স্বতন্ত্র হলেও তিনিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির লোক।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালমান এফ রহমান। এ আসনে নির্বাচনী প্রচারে আমার প্রার্থী কখনোই সমান সুযোগ পায়নি। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা আমার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ কর্মীদের ওপর হামলা এবং তাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট অব্যাহতভাবে চালিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনী মাঠে ছিলাম। কিন্তু গত তিন দিন ধরে সেই পরিস্থিতি অসহনীয় ও অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে।

ঢাকা-১৭: এ আসনে ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বারিধারায় নিজ বাসায় দুপুর পৌনে ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলার ৪টি আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম এই ভোট বর্জনের কথা জানান।

৪টি আসনে নির্বাচন বর্জন করা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা হলেন বাগেরহাট ১ আসনের প্রার্থী বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মাসুদ রানা, বাগেরহাট ২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, বাগেরহাট-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল ওয়াদুদ শেখ এবং বাগেরহাট ৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াত নেতা মো. আব্দুল আলিম। অপর দিকে বাগেরহাট ৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সোমনাথ দে তিনিও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সাতক্ষীরা-৪: সাতক্ষীরা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামের গাজী নজরুল ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় তার পক্ষে এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী অধ্যাপক আবদুল জলিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এমএ খালেক ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন।

ফরিদপুর-২: ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই আসনের ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে শনিবার রাতেই ভোট দিয়ে দেয়া হয়েছে।

খুলনা: খুলনা ১, ৩, ৪, ৫, ও ৬ আসনে নির্বাচন বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমির এজাজ খান ভোট বর্জন করেন। খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল ভোট বর্জন করেছেন। খুলনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আজীজুল বারী হেলাল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। খুলনা-৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জন করেছেন। আবুল কালাম আজাদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

শেরপুর: বিএনপি মনোনীত ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনের প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সময়ে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

জামালপুর: জামালপুর ২ আসনের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু ও জামালপুর ৩ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ভোট বর্জন করেছেন। তারা দুজনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনের দুজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তারা হলেন জয়পুরহাট-১ আসনের জাতীয় পার্টির (লঙ্গল) আ স ম মুক্তাদির তিতাস এবং জয়পুরহাট-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এইএম খলিলুর রহমান।

ময়মনসিংহ: ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, রাতের আধারে ব্যালটে সীল মারা, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া ও কোথাও কোথাও মারপিট করে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে ময়মনসিংহের ৮টি আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করেন।

তারা হলেন ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে বিএনপি প্রার্থী আফজাল এইচ খান, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের বিএনপি’র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের বিএনপির প্রার্থী খুররম খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের ঐক্যফ্রন্টের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ (এলডিপি) ময়মনসিংহ-১১ আসনের ফখরুদ্দিন বাচ্চু।

নোয়াখালী: নোয়াখালী ৬টি নির্বাচনী আসনে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) বিএনপির এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের প্রার্থী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা, নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপির প্রার্থী প্রাকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম নির্বচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের আটটি আসনের ৫টিতেই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেছেন। তারা হচ্ছেন টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের শহিদুল ইসলাম সরকার, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভ‚ঞাপুর) আসনের প্রার্থী কারাবন্দি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে তার ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে লুৎফর রহমান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে গৌতম চক্রবর্তী।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের আসনের ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি প্রার্থী রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা (ধানের শীষ) নির্বাচন বয়কট করেছেন। ভোটর শুরুর ৪ ঘন্টা পর বেলা ১২ টার দিকে নিজ বাসভবনে তিনি এ ঘোষনা দেন।

মাদারীপুর: ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার প্রতিবাদে মাদারীপুর তিনটি আসনের মধ্যে দুটি আসনের বিএনপির দুই প্রার্থী ও স্বতন্ত্র এক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। রোববার দুপুরে মাদারীপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিল্টন বৈদ্য তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। মাদারীপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আনিচুর রহমান খোকন তালুকদারও দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।

রাজশাহী-৪: এ আসনে বিএনপির আবু হেনা, নির্বাচন বর্জন করেছেন।

নীলফামারী: নীলফামারী-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াতের নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সুরা সদস্য আজিজুল ইসলাম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

নাটোর: নাটোর-২ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান সেন্টু নির্বাচন বর্জন করেছেন।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আহমদ আবদুল কাদের। আহমদ আবদুল কাদেরের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট জেলা খেলাফত মজিলসের সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুল করিম নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা-৪ আসনের (গোবিন্দগঞ্জ) জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী কাজী মশিউর রহমান নির্বাচন বর্জন করেছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জের খানাবাড়ি নিজ অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও-২: এ আসনে জামায়াত প্রার্থী আব্দুল হাকিম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী রেজাউল করিম খান চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের প্রার্থী শরীফুল আলম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের (জেএসডি) প্রার্থী ড. সাইফুল ইসলাম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

বগুড়া: বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচন বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন।

যশোর: যশোর: বিচ্ছিন্ন হামলা, অভিযোগ ও ছয় প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যে দিয়ে যশোরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের পর ৪টি আসনের ৬ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে ও গণমাধ্যমকে জানিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

তারা হলেন যশোর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, যশোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহুরুল হক জহির ও এনপিপির প্রার্থী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ এবং যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কামরুল হাসান বারি ও ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণার পাশাপাশি তারা এই আসনগুলোতে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর উপজলোর একাংশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর উপজলোর একাংশ-কামারখন্দ) আসনে বিএনপির রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খান এবং সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলিম ভোট বর্জন করেছেন।

রাজবাড়ী: নির্বাচন বর্জন করেছেন রাজবাড়ীর ২টি সংসদীয় আসনের বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রার্থী। রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ নাসিরুল হক সাবু নির্বাচন বয়কট করেন।

নীলফামারী: নীলফামারী-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াতের নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সুরা সদস্য আজিজুল ইসলাম নির্বাচন বর্জন করেছেন।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মতিয়ার রহমান ভোট বর্জন করেছেন।

চট্টগ্রাম: ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ নানান অনিয়মের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে ভোট বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ও ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড) আসনের বিএনপির প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএনপির আহবায়ক তফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) নির্বাচনী এলাকার জাতীয় (বিএনপি) ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সফিকুর রহমান কিরণ এক ভিডিও বার্তার মধ্যামে নির্বাচন বয়কট করেছেন।

চাঁদপুর: চাঁদপুর- ৫ (হাজীগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক নির্বাচন নির্বাচন বর্জন করেছে। বিকেলে তিনি নিজ বাস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।

কুড়িগ্রাম: ভোটে নানা অনিয়মের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে ৩ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হাবীব দুলাল জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের প্রতিবাদে ভোট বর্জন করেছেন। একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার নির্বাচন বর্জন করেন। একই অভিযোগে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান।

নওগাঁ: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. সামসুজ্জোহা খাঁন রোববার বিকাল ৩ টায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।

নোয়াখালী: ভোটগ্রহণে নানা অভিযোগ তুলে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল হান্নান নির্বাচন বর্জন করেছেন। একই সঙ্গে ভোট বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

পাবনা: ভোটগ্রহণে নানা অভিযোগ তুলে পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে ২টিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ধানের শীষের দুই প্রার্থী। তারা হলেন পাবনা-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও পাবনা-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইকবাল হোসাইন।