তিনি তারেক রহমান, এটাই তাদের একমাত্র ‘ভয়’

১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘পাগল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেদিনই তিনি সংসদে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে অর্থ পাচারের বিশদ কুৎসা গেয়েছেন। অথচ তিনি ক্ষমতায় থেকেও বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগ করে তার দেয়া তথ্যগুলোর কোনটিই তিনি আদালত কর্তৃক প্রমাণিত করতে পারেন নি। দেশের আদালত আগেই শেখ হাসিনাকে রং হেডেড বলে আখ্যা দিয়েছেন। অন্য দিকে তার শেখ পরিবার ও জয় টিউলিপ পুতুলদের অর্থ পাচারের কাহিনীর প্রমাণবহুল তথ্য নিয়ে এখন দেশে বিদেশের পত্রপত্রিকা প্রায়দিনই সংবাদ প্রচার করছে। শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের ২ দিন অগে থেকে শুরু হয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মারফত প্রোপাগান্ডা। সবকিছুর অন্তমিল ও উৎস্যমিল যেন একসূত্রে গাঁথা।

বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো বাংলাদেশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আরেকটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো জনপ্রতিনিধিত্বহীন তাবেদার সরকার গঠনের চেষ্টা করছে। তবে এবার অন্যভাবে খেলতে চায় আওয়ামী লীগের দোসররা। হাতে প্রশাসন আছে, দলের ফান্ডে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে অলস পড়ে আছে, বিদেশের মাটিতে সাত লক্ষ কোটি টাকা লুট করে জমানো আছে, যার থেকে এবারের নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকার জন্য কিছুটা ব্যবহার করতে চায় তারা। অনেক প্রস্তুতি তাদের। তবুও যেন শান্তি হারিয়ে গেছে কোথায়!!!

দেশের সব মিডিয়া এখন সরকারের মুঠোতে। এর বাইরেও সাংবাদিক নামের কিছু জোচ্চোর আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পার্সোলানভাবে উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের পেছনে সরাসরি সরকার কোটি কোটি টাকা খরচাও করছে। পীর হাবিুরর তাদেরই একজন। তবে তিনি বেলাজা থেকেও অন্য টাইপের সাংবাদিক। লালপানি আর অর্থের বিনিময়ে নিজে বেশ্যা হয়ে যেতে বরাবরই রাজি আছেন তিনি।

সামনে দেশের নির্বাচন। লেখার প্রথমেই লিখেছি অনির্বাচিত ক্ষমতা দখলকারীরা আবার জিততে চায়। হারাতে চায় দেশের বর্তমান ৯০ শতাংশ মানুষের সমর্থনের দল বিএনপিকে। এ পর্যন্ত সরকার বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতাদের কোন কোন ক্ষেত্রে বাগে আনতে পারলেও তারা ভালো করেই জানে বিএনপি মানেই জিয়া পরিবার। তারা মনে করেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে লোকচোখে হেয় ও বিতর্কিত করতে পারলেই সামনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যেভাবেই খেলুক না কেন তা জনগণের নজর লাগবে না। তাই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে টানা হেঁচড়া শুরু করে দিয়েছে। মামলার পর মামলার রায় দিয়ে নির্বাচনের সময় জেলে রাখতে চায় বেগম খালেদা জিয়াকে।

আর গণমানুষের প্রিয় নেতা তারেক রহমান ! লন্ডনে নির্বাসিত আছেন। সেখানে থেকেও তিনি বাংলাদেশে সমান শক্তিশালী ও জনপ্রিয় নেতা। সরকার হুলিয়া জারি করে তাকে দেশে প্রত্যাবর্তনে বাধা দিয়ে রাখতে চায়। আর সেই সাথে তার সুনাম নষ্ট করতে ব্যাপক অপপ্রচার চায় সরকার।
তারেক রহমানের ডাকে হাজার হাজার নেতাকর্মী লন্ডনসহ সমগ্র ইউরোপের রাস্তায় মুহূর্তের মধ্যে নেমে আসে। তাই শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করে কখনো শান্তিমাখা মুখে দেশে ফিরতে পারেন নি। তারেক রহমানের বক্তব্য আইন করে দেশে প্রচার প্রচার নিষিদ্ধ করছে সরকার। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এখনো তারেক রহমানের বক্তব্য বহুল প্রচারিত হয়ে আসছে। ফল পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনের আগে হয়তো সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আগের মতো হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনার করছে। কিন্তু এতেও জনগণের মধ্যে বেঁচে থাকবেন তারেক রহমান। তাঁর খুটির জোর জনগণের মন থেকে ‘তারেক রহমান’ নামটি উপড়ে ফেলতে চায় তারা। তাই একমাত্র উপায় তারেক রহমানের নামে কূৎসার পর কুৎসার রটানো। তাঁর আশে পাশে আনাগোনা আছে এমন সবার নামে বিতর্কিত করে আর বিভিন্ন মিডিয়াতে সেসব একের পর এক সংবাদ প্রচার করে প্রোপাগান্ডা তৈরী করে মানুষের মনে বিষিয়ে তুলতে চায় ‘তারেক রহমান’ নামটিকে। যাতে জনগণের মনে তারেক রহমানের নামে বৈরী ধারণা সৃষ্টি হয়।

প্রোপাগান্ডার নতুন নায়ক এক ভন্ডপীর

প্রোপাগান্ডায় সরকারের কর্মপন্থা ও পীর হাবিবুরকে বাছাইয়ের কারণ?
প্রথমে জানি প্রোপাগান্ডা কি?
প্রোপাগান্ডা হল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা। নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হল নির্ধারিত এজন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য অপপ্রচার। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে জনগণকে প্রভাবিত করার ও মনোভাব বদলে দেয়ার মনোবিজ্ঞানগত কৌশলের অংশ হিসেবে দলের কর্মীদের সেই সাথে সংযুক্ত করা হয়, যার ফলে উক্ত উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যের প্রতি ভিত্তি তৈরী করে জনসমর্থন তৈরি করার চেষ্টা করা। প্রোপাগান্ডা হচ্ছে এমন তথ্য যা বস্তুনিষ্ঠ হয় না বরং প্রাথমিকভাবে কোন শ্রোতাকে প্রভাবিত করতেই ব্যবহৃত হয়।
এক্ষেত্রে প্রায়ই মিথ্যা তথ্যগুলোকে প্রথমে বাছাই করে তা সত্য অকারে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয় যাতে ব্যক্তি বিশেষ ঐ বিষয়ের উপর আগ্রহী হন, অথবা “লোডেড ল্যাঙ্গুয়েজের” মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করা হয় যেখানে প্রকাশিত তথ্যে যৌক্তিকতার বদলে আবেগের ব্যবহার করা হয়। সাধারণ প্রচার-প্রচারণার সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার মৌলিক পার্থক্য হল, এটি নিরপেক্ষ তথ্য প্রকাশ না করে একটি নির্বাচিত দিকে ধাবিত করতে সহায়তা করে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার বা প্রোপাগান্ডায় হাসিনা বাকশালী সরকার কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন উপাদানকে সম্পর্কিত করা হয়েছে। এখন এসব ভন্ডপীর হাবিবুরদের মতো প্রোপগান্ডাবাজদের দিয়ে বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
প্রতিবারই যুক্তরাজ্যে বিএনপির সম্মেলন আসলেই গ্রুপিং রিগ্রুপিং চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়। এখন সেই সম্মেলনের সময়। দাঙ্গা-হাঙ্গামা, নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় থাকা নেতাদের নামে বদনাম ছড়ানো এখন নিয়মিত ব্যাপার। তবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য প্রতিবারই সেই সময়টাকেই বেছে নিয়েছিল সরকারের এজেন্টরা। কেননা পিছিয়ে পড়া একটি গ্রুপকে সহজেই পাশে পায় তারা। আর তারাই না বুঝে বিএনপির মধ্যে সরকারের এজেন্টদের কাজ করে দেয়।
সামনে দেশে নির্বাচন। এবার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশে তারেক রহমানকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার-প্রচারণা চলতে থাকবে অবিরত। তাদের উদ্দেশ্য হল, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে বদনাম সৃষ্টি করার জন্য পাঠকের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গীর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণাটির পুনরাবৃত্তি ঘটানো। এরজন্য বাংলাদেশ, বিদেশ বিশেষত, লন্ডনের সব ধরনের প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে দালালরা। তা ছাড়া ফেইসবুক স্ট্যাটাস, দলের গ্রুপিং বক্তৃতা, সংবাদপত্রে ভূয়া সংবাদ, সংবাদ সম্মেলন, রেডিও-টেলিভিশনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার, অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন রেডিও, ব্লগ, ক্ষুদে বার্তা ইত্যাদির মাধ্যমে তারা প্রোপাগান্ডকে একটা সফল রূপ দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার এ ধারা নতুন নয়। ১/১১র পর চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে আগমন করেন। মঈন-ফখরের সাথে আতাঁত করে ক্ষমতায় বসেন হাসিনা। এরপরই নতুন করে হাসিনা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবী রাজনীতিবীদ নির্বাসিত নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেশে তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে ও লন্ডনের মাটিতে এজেন্ট নিয়োগ করে ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
প্রথমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র/ প্রোপাগান্ডা করার দ্বায়িত্ব নেন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ। সেই সময় এই গং দীর্ঘদিন প্রচেষ্টার পরও তারেক রহমানের সুনামে কোন ক্ষতি সাধন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নামে সিনেমা তৈরী ও রবীন্দ্র শার্দ শতবার্ষিকীর নামে তাদের হাতে বহু অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হয়। বড় বাজেটের এই প্রচেষ্টা শেষমেষ ব্যর্থ হওয়ায় চতুর গাফফার চৌধুরী ব্যর্থতার দায় গোপন করতে বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার পরামর্শ শেখ রেহেনাকে দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে এভাবে তারেক রহমানের ক্ষতি করতে না পারায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ভিন্ন ফন্দি আটেন। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিভিন্ন পদের নিয়োগ দেখিয়ে তাদের চৌকস একদল গোয়েন্দা নিয়োগ করে যারা একসময় ছাত্রলীগ করত। পাশাপাশি লন্ডনে টিউলিপ ও কাউন্সিলর পারভেজের নেতৃত্বে একদল সাদা রাজনীতিবীদকে চড়ামূল্যে ভাড়া করা হয়। টিউলিপ সেই খরচার উপর ভর করেই একসময় এমপি বনে যান। টিউলিপ তাদের নিয়ে খুব গোপনে বাংলাদেশ বহুবার সফর করেছেন।

সরকারের সেই গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ও তাদের এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সাথে থেকে এখন মিলেমিশে গেছে। বাংলাদেশের বাকশাল সরকারের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার জন্য তারেক রহমান বিরোধী বিশাল বাজেটের অংশ তাদের পেছনে খরচা হচ্ছে।
সরকারের এজেন্টরা দেশে প্রথমে বহুল প্রচলিত বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাকে টার্গেট করেছিল। বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ সরকারের বানানো নিউজগুলো ধারাবাহিক প্রচার করার চেষ্টা করে। যে কারণেই হোক তা প্রচার করেনি তারা। তার একটু খেসারত দিতে হয় তাদের। ১০ জানুয়ারি ২০১৮ বুধবার, একটি পুরোনো মামলায় আওয়ামী ঘরনার হয়েও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে লালমনিরহাটের একটি আদালত। সরকার থেকে তাদের প্রতি এটা ভবিষ্যতের জন্য মৌন হুমকি।

পীর হাবিবুর রহমান যেভাবে টোপ গিললেন:
সরকারের প্রোপাগান্ডর ইচ্ছা জেনে পীর হাবিবুরই প্রথম সরকারের কাছে লন্ডনের ব্যাপারে কাজ করার প্রস্তাবনা তুলেছিলেন। এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকারের কাছ ১০ কোটি টাকাও দাবি করেন। ‘মাল লাগে খাবি; কাজ করে দেখা হারামজাদা’- উচ্চ পর্যায় থেকে এভাবে নির্দেশ দিয়ে পীর হাবিবুরকে টোকেন মানি দেয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে তাকে ২ কোটি টাকা দেয়ার গুঞ্জন শোনা গেছে।
হাবিবুরের অতি উৎসাহের আরেক কারণ তার ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টি থেকে অনির্বাচিত সরকারের সংসদ সদ্যস্য পীর ফজলুর রহমান। আগামী নির্বাচনে যে কোন মূল্যে ভাইকে আওয়ামী লীগের সংসদে এমপি হিসেবে দেখতে চান পীর হাবিব। তখন জাতীয় পার্টির সাথে সরকারের অবস্থান যাই থাকুক না কেন। শেখ হাসিনার সমর্থন নিয়ে ভাইকে সংসদে রাখতে চান পীর হাবিব। সেইজন্য সরকারের সাথে একটা বোঝাপড়াও করে রেখেছেন তিনি।

পীর হাবিবুর রহমান সিলেটের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। লন্ডন প্রবাসীদের যারা বিএনপি করেন মধ্যে সেই অংশের লোকজন প্রচুর। সরকার মনে করে প্রবাসী সিলেটি মানুষের মধ্যে প্রোপাগান্ডাবাজ পীর হাবিবুর কাজ করতে পারলে তারেক রহমানকে নিয়ে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে খুব সহজ হবে। কাজ হাতে নিয়ে তার পুরোনো লাইন দিয়ে লন্ডনে বেশী বেশী যোগাযোগ করতে থাকেন হাবিবুর। গোপনে লন্ডন সফর করেন কয়েকবার। এরপরই তার অনলাইন পত্রিকা পূর্ব-পশ্চিমে ধারাবাহিকভাবে তারেক রহমানের নামে লেখা হচ্ছে। লেখা হচ্ছে তার আশেপাশের সবাইকে নিয়ে। হাবিবুরের ইচ্ছা সকল দোষের উৎস তারেক রহমান এটার প্রচার প্রতিষ্ঠা করা। কেননা তিনি তারেক রহমান হয়ে গেছেন এটাই তার একমাত্র ‘পাপ’।

একজনের লেখা ভালো লেগেছে তার কিছু নিন্মে তুলে ধরলাম:
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশ ও জাতীয়তাবাদের প্রতীক। ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায় শুরু হয়েছে প্রপাগান্ডা তারেক রহমান কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র,বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোন একটি মহল এই গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এটা করে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
এই অবস্থায় নেতা কর্মীদের মধ্যেও যাতে হতাশা তৈরি করা যায় সেই চেষ্টাও হতে পারে। তবে সেগুলোতে কান না দিয়ে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ রাজনীতির বয়স দুই যুগের বেশি। তিনি সাংবাদিক নামধারী ভন্ডদের যেমন চেনেন আবার যারা বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন তারাও তার কাছে অজানা নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর লন্ডনে দলের একটি সভায় বক্তব্য দিয়েছেন তারেক রহমান। বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘চালের মধ্যে যেমন খারাপ চাল আছে, মানুষের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে। সব সাংবাদিক খারাপ নয়, আবার সব সাংবাদিক ভালো নয়, রাজনীতিবিদদের মধ্যেও ভালো খারাপ আছে একইভাবে সব শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে।
সে সময় তারেক রহমান বলেন, দেশের কতিপয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং মালিক অবৈধ সরকারের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে এবং আরও অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য তারা প্রতিনিয়ত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি তাদেরকে মিথ্যা ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। তারেক রহমান বলেন, জনগণ এইসব মিথ্যাচার ও অপ্রচারকারী সাংবাদিক নামধারীদের আত্মসম্মানবোধহীন এবং নিম্নশ্রেনীর মানুষ বলে মনে করেন। তারেক রহমান অপপ্রচারকারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “নিজেদের এতো নীচে নামাবেন না’।
এই নির্বোধেরা নিজেদের অধিক পন্ডিত মনে করে। নিজের অবস্থা অবস্থান ভুলে গিয়ে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে যখন পাগল-ছাগলের মতো মন্তব্য করে তখন বোধসম্পন্ন মানুষ লজ্জা পায়। সেইসব অর্বাচীনদের সঙ্গে ইতিহাসের আলোচনা করে লাভ নেই কারণ এদের কাছে ইতিহাস হচ্ছে “নগদ প্রাপ্তি”র বিষয়। নগদ প্রাপ্তির জন্য এরা শেখ মুজিবকে পিতা ডাকে, আবার প্রয়োজনে জেনারেল এরশাদ কিংবা জেনারেল মঈনকে পিতা ডাকতেও এদের দ্বিধা নেই। এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হলেও হয়তো দেখা যাবে দেখা যাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে এরাই আবার তারেক রহমানকেও পিতা সম্বোধন করবে।

সবশেষে কথা, বিলেতের বিখ্যাত ইকোনোমিস্ট লিখেছে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মিডিয়াতে সত্য খবর প্রকাশ করলে গুম অথবা খুন হয়ে যেতে হয়। আবার সরকার পক্ষের সুবিধাবাদীদের মিলছে সুযোগ সুবিধে, পুরস্কার আর পুস্কারর। চ্যানেল ফোর বর্তমান সরকারকে ব্রুটাল গভর্নমেন্ট আর রেপ্রেসিভ রেজিম হিসেবে উল্লেখ করেছে। ৫ জানুয়ারির মতো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আরেকটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো জনপ্রতিনিধিত্বহীন তাবেদার সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। এতগুলো ঘটনা থাকা স্বত্তেও যুক্তরাজ্য বিএনপির একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় কাউন্সিল নিয়ে দেশ বিদেশের কিছু উদ্দেশ্যমূলক ও বিদ্বেষমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তাদের বাকশালী সরকারের কর্মকান্ডকে এড়িয়ে নিতে তাদের এজেন্ট হয়ে কাজ করা, তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করে তাদের ইমেজ ধ্বংস করা। দেশপ্রেমিক জনগণ অনির্বাচিতদের এ মনোকামনা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি বলেই ষড়যন্ত্রের বিগত ১১ বছরেও তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও এ জনগণই জিয়া পরিবারের রক্ষা কবচ হয়ে দাড়াবে।

মোঃ সাব্বির ; da.sabbir@hotmail.co.uk