স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার চা-চক্রের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা ভোগ-লালসায় অস্থির হয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে তালবেতাল হয়ে অমানবিকতার পথ অবলম্বন করেছে। এরা মানবিক বিবেচনায়গুলো পদদলিত করছে। সেই জন্য ক্ষমতা আধিপত্যের রঙিন সম্প্রসারণে মেতে উঠেছে।
গত রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘গতকাল গণভবনে চা-চক্রে শেখ হাসিনার সদাহাস্য চেহারা ও সরকারের আনুকূল্য পাওয়ায় উৎফুল্ল উচ্ছিষ্ট রাজনীতিবিদদের চেহারা দেখে মনে হয়েছিল তারা আনন্দে মাতোয়ারা। এই আনন্দ একটি সামাজিক পাপ। গোটা জাতির সঙ্গে নির্লজ্জ মহাতামাশার নির্বাচনের পর উল্লসিত সরকারের চা-চক্রের আয়োজন বিবেকহীন আনন্দেরই সমতুল্য।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণাকারী সরকারের জয় উদযাপনের চা-চক্রে দেশের গণতন্ত্রমনা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। যারা জনগণের ভোট লুট করেছে তাদের সঙ্গে গণতন্ত্রপ্রেমী কোনো ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠী-কেউই সেই লুটের আনন্দের পাপে অংশগ্রহণ করেনি। এটাই জনগণের বিজয়।’
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর ভুয়া ভোটের সরকারের অনুগত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে।দুর্দশাগ্রস্ত গণতন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কতটুকু সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে-এ নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডার্ড বিচার করা হচ্ছে জ্ঞানান্বেষণ বা সৃজনশীলতার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য নয় বরং তা সমুচা ও আলুর চপের মূল্যে।’
রিজভী বলেন, ‘ক্যাম্পাসগুলো একদলীয় দুঃশাসনের প্রবল প্রতাপের অংশীদার বলেই এখন শিক্ষার উৎকর্ষতার চেয়ে চা-সিঙ্গারা-চপের উৎকর্ষতার বাণী শুনতে পাওয়া যায়। সুতরাং ডাকসু নির্বাচনের সব ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে ডাকসু নির্বাচন হবে মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের ধারাবাহিকতার আরেকটি সংযোজন।’