সরকার আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারদলীয় একজন আইনজীবী ধানের শীষ প্রতীকের ২৩ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিট করেছেন। বিরোধী দলের প্রার্থীদের আদালতের দোহাই দিয়ে অযোগ্য করে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে এই রিট করা হয়েছে।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিমধ্যে সরকার ও সরকারদলীয় ব্যক্তিদের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৮ জন প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন আদালত। এবার ধানের শীষ প্রতীকের ২৩ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিট করা হয়েছে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইসিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতে নির্বাচনের বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর উদ্ভূত যেকোনো আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ছাড়া আর কোনো কর্তৃপক্ষের বিবেচনার সুযোগ নেই। মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ শেষের পরে প্রার্থীদের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আবেদন তৈরি ও তা নিষ্পত্তির জন্য আদালতকে ব্যবহার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ।
(সূত্রঃ প্রথম আলো )